দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি ‘বিএনপি চালু করেছিল’ অভিযোগ করে সেই পরিস্থিতির বদল ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে বিচার পেতে মানুষের ভোগান্তির নিরসনে সরকার বিচার ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করেছে। করোনা মহামারির সময়ে বিচারকাজ ভার্চুয়াল করে দিয়েছি; যাতে মানুষ ঘরে বসেই স্বল্প সময়ে বিচার পায়।
তিনি বলেছেন, বিচার না পাওয়া হলো মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। সেই অবস্থা থেকে আজ দেশকে মুক্ত করতে পেরেছি। আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করে। মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায় সেই ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত নেতারা সোমবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। তিনি নবনির্বাচিত নেতাদের অভিনন্দন জানান এবং বিচার ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তার বিচারের পথ ‘রুদ্ধ’ করতে বিএনপির ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বিচার পেতে তার ‘অসহায়ত্বের’ কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে গুম খুনের ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করে বিএনপি। আমার বিচার চাওয়ার, বিচার পাওয়ার অধিকার ছিল না। এটা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান দাবদাহ পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের কারণে মানুষের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।